রাফাতে মসজিদে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফার একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। মঙ্গলবার (৭ মে) মসজিদটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তারা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, রাফা সিটির কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ওই মসজিদে একটি ড্রোন থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। মসজিদটি একটি মার্কেটের পাশে অবস্থিত। ওই সময় সেখানে মানুষের অনেক জটলা ছিল। ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার ভয়ে মানুষ নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে সেখানে গিয়েছিলেন।

তবে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি সতর্কতামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। মূলত হামলার পুর্ব সতর্কতা হিসেব এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়ার পর সেখান থেকে সাধারণ মানুষ সরে যান।

আরও পড়ুনঃ   গরমে পুড়ছে বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশের কী অবস্থা

আলজাজিরা আরও জানিয়েছে, হামলার পরপর সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়।

মসজিদটিতে কখন বড় হামলা চালানো হবে এখন সেটিই দেখার বিষয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

মঙ্গলবার সকালে রাফার মিসর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থান নেয় ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে তারা ট্যাংকসহ অন্যান্য ভারী অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রাফাতে এখন অভিযান চালাচ্ছে দখলদার সেনারা। সেখানে তারা তিনটি টানেল পাওয়ার দাবি করেছে। ইসরায়েলিদের দাবি, এসব টানেলের মাধ্যমে মিসর হয়ে হামাসের কাছে অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম যায়।

আরও পড়ুনঃ   পৃথিবীতে ২০ বছরের মধ্যে প্রথম ‘চরম’ সৌর ঝড়ের আঘাত

এদিকে আন্তর্জাতিক আইনে ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যদি যুদ্ধরত কোনো পক্ষ এমন স্থাপনায় হামলা চালায় তাহলে এটি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

মঙ্গলবার রাফাতে যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে প্রবেশের আগে সোমবার রাতে সেখানে ব্যাপক বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলো।