নানা আয়োজনে রাজশাহীতে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : আজ ১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন হিসেবে আজকের দিনটি বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাঙালি জনগোষ্ঠী আবহমানকাল ধরে অসাম্প্রদায়িক এই দিনটি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে আসছে। তবে ১৪১৭ বঙ্গাব্দ হতে দিবসটি জাতীয় পরিসরে উদযাপিত হচ্ছে।

প্রতিবছরের মতো সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীতেও আজ বাংলা পঞ্জিকার হিসাবে নতুন বছরের প্রথম দিন ১ বৈশাখ জাঁকজমকপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হয়।

নববর্ষ উপলক্ষ্যে রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে নগরীর বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা; অগ্নিস্নানে সুচি হোক ধরা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির রাজশাহী কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় নানা শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ অংশ গ্রহণ করে।

আরও পড়ুনঃ   রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বাংলা নববর্ষ উদযাপন

শোভাযাত্রা শেষে শিশু একাডেমিতে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির রাজশাহী কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে পুরাতনকে মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

আরও পড়ুনঃ   রাজশাহীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দু’দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শুরু

নববর্ষ উপলক্ষ্যে আজ শিশু পরিবারে শিশুদের নিয়ে এবং কারাগারে কারাবন্দিদের অংশগ্রহণে বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত ঐতিহ্য ধারণ করে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া নগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সুবিধা মতো সময়ে নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে।

দিনটি উপলক্ষ্যে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার, শিশুপরিবার, শিশুসদন, এতিমখানা ও নগরীর হাসপাতালগুলোতে উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান সর্বসাধারণের জন্য বিনা টিকেটে সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা হয়।