বাংলাদেশকে ফলো-অন না করিয়ে ব্যাটিংয়ে নামলো শ্রীলঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক : সিলেট টেস্টের পর চট্টগ্রামেও ব্যর্থ বাংলাদেশি ব্যাটিং লাইনআপ। শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা যেখানে দাপট দেখিয়েছে, সেখানেই ভুগেছে স্বাগতিক ব্যাটাররা। এমনকি ফলো-অন এড়ানোর জন্য নূন্যতম যে রান দরকার ছিল সেটাও করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশকে ফলো-অন না করিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে শ্রীলঙ্কা।

প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। টেস্ট ক্রিকেটের নয়ম অনুযায়ী—প্রথম ইনিংসে ২০০ রান বা তার চেয়ে বেশি রানের লিড পেলে প্রতিপক্ষকে ফলো-অন করানো যায়। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে ৩৫৩ রানের। তাই ইচ্ছা করলেই বাংলাদেশকে ফলো-অন করাতে পারতেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

আজ (সোমবার) চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে ১ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। এদিন ব্যাট হাতে সকালটা খারাপ কাটেনি টিম টাইগার্সের। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার জাকির হাসান নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম মিলে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেছেন। যদিও ব্যক্তিগত ফিফটির পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জাকির।

আরও পড়ুনঃ   জয়ের আউটে অস্বস্তি নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

ভিশ্ব ফার্নান্দোর দারুণ এক ডেলিভারিতে ফেরেন জাকির। ভেতরের দিকে ঢোকা বল জাকিরের রক্ষণ ভেদ করে উপড়ে ফেলেছে লেগ স্টাম্প। ৮ চারে ১০৪ বলে ৫৪ রান করে ফিরলেন জাকির। তার বিদায়ে ভাঙে ১২২ বলে ৪৯ রানের জুটি।

জাকিরের বিদায়ের পর যেন পথ হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশও। দলীয় ৯৬ রান থেকে ৯ রান যোগ করতেই আরও দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। একে একে ফিরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং শেষমেশ নাইটওয়াচম্যান তাইজুলও।

তাইজুল ইসলামের আউটের পর মুমিনুলের সঙ্গে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। এই দুজনে কিছুটা সময় নিয়ে খেলতে চাইলেও সেই চেষ্টা সফল হয়নি তাদের। সাকিব অবশ্য এমন আউটের পেছনে ভাগ্যকে দোষ দিতেই পারেন। অনেকটা সুইং করেছিল বল। ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। বল প্যাডে লাগার পর আম্পায়ার লঙ্কানদের আবেদনে সাড়া দিয়ে আউটের সংকেত দেন। সাকিব রিভিউ নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আম্পায়ার্স কলে ফিরতে হয় তাকে।

আরও পড়ুনঃ   ভিনিসিয়াসের জোড়া গোলে মিউনিখের সাথে ড্র করলো রিয়াল

দুই বল পরেই আসিথা ফার্নান্দো আবার আঘাত হানেন। এবার আউট হয়েছেন লিটন দাস। উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন কুশাল মেন্ডিস। ইনিংস বড় করা হয়নি শাহাদাত দীপুরও। ৮ রানে আউট হয়েছেন লাহিরু কুমারার বলে। বল ব্যাটের কানায় লেগে গেছে স্লিপে। নিচু হয়ে সেটি নিয়েছেন কামিন্দু মেন্ডিস। মিরাজ এসে জীবন পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। প্রভাত জয়সুরিয়ার বলে এলবিডব্লিউর শিকার এই অলরাউন্ডার।

একদিকে টিকে ছিলেন মুমিনুল হক। আসিথা ফার্নান্ডোর ফুললেংথের বলে এলবিডব্লু হয়েছেন তিনি। ৮৪ বলে ৩৩ রান করে ফিরেছেন তিনি। সাকিবের মতোই দূর্ভাগ্য তার। আম্পায়ার্স কল হওয়াতে ফিরতে হয়েছে এই ব্যাটারকে। আউট হওয়ার আগে অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪ হাজার রান পূরণ করেছেন তিনি। শেষ উইকেট হিসেবে আউট হয়েছেন খালেদ। আসিথার চতুর্থ শিকার তিনি। বোল্ড হয়েছেন ১ রান করে।