ডিজেলের দাম কমল, পেট্রোল ও অকটেনের কমেনি

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ মার্চ থেকে চালু করেছে সরকার। এ হিসাবে প্রতি মাসেই নতুন দাম ঘোষণা করা হবে। দেশে প্রথমবারের মতো মার্চ মাসের জন্য ঘোষিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে কমেছিল জ্বালানি তেলের দাম। এবার এপ্রিলের জন্য ঘোষিত দামে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে কমেছে ২ টাকা ২৫ পয়সা। পেট্রল ও অকটেনের দাম কমেনি।

এপ্রিলের জন্য ঘোষিত জ্বালানি তেলের নতুন এই দাম গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে – কার্যকর হচ্ছে। জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে গতকাল বিকেলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে – বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুনঃ   হিফজুল কোরআন ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় কৃতিত্ব অর্জনকারীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৬ টাকা। পেট্রল ও অকটেনের দাম

অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ভেজাল প্রতিরোধে কেরোসিনের দাম ডিজেলের সমান রাখা হয়।

মার্চের জন্য ঘোষিত দামে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৭৫ পয়সা করে কমানো হয়েছিল। এ ছাড়া অকটেনের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমে হয়েছিল ১২৬ টাকা। আর পেট্রলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমে হয়েছিল ১২২ টাকা।

আরও পড়ুনঃ   জাতির পিতার সমাধিতে জাফর ওয়াজেদের শ্রদ্ধা

জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়, অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাসদ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়।

অকটেন ও পেট্রল বিক্রি করে সব সময়ই মুনাফা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিসি। মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল।